খুলনায় তরমুজের সিন্ডিকেট,কেজি দরে না কেনার ঘোষণা ক্রেতাদের
সোলায়মান,খুলনা থেকে:
চলমান প্রচন্ড তাপদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে খুলনাসহ দেশব্যাপী। মৌসুমী ফল হিসেবে তরমুজের চাহিদা পূর্ব থেকেই,উপরোন্ত রমজানে রোজাদারদের ইফতারিতে তৃষ্ণা মেটাতে সহায়ক ও সুস্বাদু । সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।চাহিদার সাথে দামের সমন্বয়হীন হওয়ায তরমুজ এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। খুলনার খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে। সাধারণত তিন কেজির নিচের তরমুজের কেজি ৩০ টাকা। ওজনে ৩ কেজির বেশি হলে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। এতে পাঁচ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম পড়ে ২০০ টাকা। আর ১০ কেজি ওজনের তরমুজের দাম পড়ে ৪০০ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে বড় আকারের ১০০ পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকায়।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন।যদি তাদের সিন্ডিকেট ব্যবসা থামানো না যায় তাহলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তখন তাদের সামলানো দায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই তাদের এখনই দমন করা উচিত।
এ লক্ষ্যে ফেসবুকে একাধিক গ্রুপও খুলেছেন ক্রেতারা। সেখানে কেজি দরে তরমুজ না কেনার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে।সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন,‘কেজি হিসেবে বিক্রি হওয়া তরমুজ সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না দাম বেশি হওয়ার কারণে। মাঝারি বা বড় আকারের তরমুজও ক্রেতার নাগালের বাইরে। গরম যত বাড়ছে, তরমুজের চাহিদার সঙ্গে এর দামও বাড়ছে।
খুলনার টুটপাড়া এলাকার এক পাইকার তরমুজ ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া বলেন ‘আমরা ‘শ’ হিসেবে কিনে আনি এবং ‘শ’ হিসেবেই খুচরা দোকানদারদের কাছে বিক্রিও করি। তারা বেশি লাভ করার জন্যই কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। তবে এবার প্রথমত রোজা,দ্বিতীয়ত লকডাউন থাকায় তরমুজের দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় দুই গুণ বেড়েছে।
লকডাউনের কারণে ট্রাক ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। তাছাড়া পথে ও ফেরিঘাটে বেশি খরচ দিতে হয়। তাই মোকামে আসা পর্যন্ত দাম অনেক বেড়ে যায়।প্রচুর গরমের কারণে মানুষের কাছে তরমুজের চাহিদা বেশি।এ সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম বাড়িয়েছে।